লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, পিনকোড সাবেক কর্মকর্তার থাকায় বেতন-ভাতায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহম্মেদ তার স্থলে আসা কর্মকর্তা ডা. খালেদ হোসেনকে পিনকোড বুঝিয়ে দেননি গেল তিন মাসেও।

অর্থাৎ, সরকার ছাড় দিলেও অনলাইনের পিনকোড সাবেক কর্মকর্তার কাছে সংরক্ষিত থাকায় ঝুলে আছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও অফিস স্টাফদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা যথা সময়ে পেয়েছেন।

তাদের বেলায় ছাড় দিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তা ডা. তৌফিক। কিন্তু সেবিকা এবং টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী কর্মচারীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা আটকে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাঠ কর্মচারী ক্ষোভ ঝাড়েন, চিকিৎসকদের ক্ষমতা বেশি। তাদের বেতন বন্ধ করলে সারা দেশের চিকিৎসকরা ডা. তৌফিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। তাই তাদেরকে বেতন ভাতা দিয়েছেন। আটক রেখেছেন আমাদের মত নিম্নপদের গরিব কর্মচারীদের। চিকিৎসকরা চেম্বারে রোগী দেখে আয় করেন।

আমরা মাঠ কর্মচারীরা বেতনের উপর শতভাগ নির্ভরশীল। মাস শেষ হওয়ার ৯ দিন হচ্ছে। বেতন পাইনি। বাসা ভাড়া ও সন্তানদের লেখাপড়াসহ সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান তারা।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদ হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ে ও নার্সদের মিলে মোট ৫৩ জনের বেতন ভাতা দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি অফিস চালালেও বিগত দুই মাস বেতন ছাড় দিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহম্মেদ। আমাকে পিনকোড বুঝিয়ে দেননি। চলতি মাসে ৫৩ জনের বেতন কেনো ছাড় দিলেন না তা আমি জানি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি।